পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ্যাড. শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, আমরা প্রানী সম্পদ খাত বিকাশের জন্য অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে করে কাজ করছি। যে কারনে অতীতের তুলনায় বর্তমানে দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণি সম্পদ সেক্টরে এত বিকাশ ঘটেছে যে, এখন কোরবানীর জন্য ভারত থেকে আমাদের আর গরু, মহিষ আনতে হয়না। শনিবার দুপুরে নেছারাবাদ উপজেলায় সরকারি স্বরূকাঠি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রানী সম্পদ প্রদর্শনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী কথাগুলো বলেন। নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এবং উপজেলা প্রানী সম্পদ দপ্তর ও ভেটোনারি হাসপাতালের আয়োজনে ওই প্রদর্শনি শুরু হয়। মন্ত্রী বলেন, এখন দেশিয় খামারে এত পরিমান গরু উৎপাদন হচ্ছে যে কারনে কোরবানী ঈদে বিক্রির পরেও গরু মহিষ অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে প্রচুর পরিমান গরু, মহিষ উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে গত দুই ঈদ ধরে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু এখন আর বাহির থেকে আনতে হয়না। আর সব উন্নয়ন হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উদ্যোগেই দেশে প্রথম প্রাণি সম্পদ খাতে আধুনিকতার ছোয়া আসে। তার চেষ্টায় দেশে গবাদিপশুতে যুগান্তকারী কৃত্রিম প্রজনন প্রযুক্তি প্রবর্তন আসে। তা ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের মাধ্যমে গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বহুমাত্রিক কার্যক্রম গ্রহণ করার ফলে দেশি গরুর উন্নয়ন ঘটেছে। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে একটি মানুষও না খেয়ে থাকেনা। মন্ত্রী আরো বলেন, প্রানী সম্পদ খাতে দেশে আরো উদ্যেক্তা সরকার সহজ শর্তে ঋন দিচ্ছে। বিনামূল্যে গরুর বীজ,মাছের পোনা, মুরগীর বাচ্চা দেয়া হয়ে হচ্ছে। যাতে শিক্ষিত বেকার যুবকরা এ পেশায় নিজেকে জড়িয়ে নিজে নিজে সাবলম্বি হয়ে ওঠে। কোন শিক্ষিত বেকার যেন চাকরি কন্য অন্যর কাছে ধর্না না দেয়। উল্টো কাজের জন্য অন্যরা যেন তাদের কাছে এসে ধর্না দেয়। নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অথিতি পিরোজপুর জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন ভূঞা, নেছারাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, স্বরূপকাঠি পৌর মেয়র গোলাম কবির, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্পাদক এসএম ফুয়াদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
Leave a Reply